পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় পিতা আবদুল খালেককে হত্যা চেষ্টা অভিযোগে পুত্র শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু হয়েছে। বাদি উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাঁড়ি এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র বিবাদী তার আপন সন্তান।

রবিবার(১২ আগস্ট) চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা হয়।

বাদি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদী পুত্র শাহাদত হোসেন তার অবাধ্য পুত্র। বসতবাড়ির জমি লিখে না দেওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। না দিলে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে পানের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরলে বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পকেটে থাকা ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বসতবাড়ি ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। তার পুত্র আহসান হাবিবসহ আরো কয়েকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে আবদুল খালেক বলেন, শাহাদত হোসেন আমার অবাধ্য পুত্র। চৌমহুনীতে ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। তিনি আমার ভরণ পোষনতো দূরের কথা বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হামলা চালিয়ে আহত করে। এমনকি টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বসতবাড়িও ভাংচুর করে। আমার আরেক পুত্র আহসান হাবিব আমাকে উদ্ধার করায় উল্টো তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা শুরু করেছে। অথচ এর আগে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপোষনামা ও অঙ্গিকারনামা প্রদান করে পুত্রদের নামে জমিভাগ করে দিয়েছি। অঙ্গিকারনামার ৪নং কলামে বসতবাড়ির ২রুম বিশিষ্ট ঘরটি যেভাবে আছে তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেউ দাবী করবে মর্মে উল্লেখ করা হয়। সেই ঘরটি দখল নেওয়ার জন্য ভাংচুর করেছে শাহাদত হোসেন। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পুত্র আহসান হাবিব বলেন, পিতাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার মারধর করে আহত করার পর আমিসহ আরো কয়েকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পিতাকে উদ্ধার করায় ক্ষোভে আমার ভাই শাহাদত হোসেন তার স্ত্রীকে মারধর করার কথা বলে আমার ও স্ত্রী নামে মামলার করার পায়তারা শুরু করেছে। ওই সময় আমার স্ত্রী রুবি আকতার আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও তার উপস্থিতি দেখিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ও মিথ্যা মামলার করার জন্য উটেপড়ে লেগেছে। এছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় অন্ত:স্বত্তা ভাবীকে পেটাল পাষন্ড দেবর শীর্ষক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। তার স্ত্রীকে কেউ মারধর করেনি আর স্বর্ণালংকারও কেউ ছিনিয়ে নেয়নি। আমার বৃদ্ধ পিতাকে মারধর করার কথা এলাকায় প্রকাশ হলে এলাকাবাসীরা তার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমরা পিতা পুত্র বড় ভাই শাহাদতের অত্যচার আর নির্যাতনে অতিষ্ট। প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার জন্য।